ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৮ম অধ্যায়

1) চিন্তা, অনুভূতি, ধারণা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি একে অপরের সাথে আদান-প্রদান করার প্রক্রিয়াটি কী?

উত্তর: যোগাযোগ।

2) উৎস, ধরন, উদ্দেশ্য, মাধ্যমভেদে যোগাযোগ কী রকম হতে পারে?

উত্তর: বিভিন্ন রকম।

3) কোনো ভাষা ব্যবহার করে একে অন্যের কাছে মনের ভাব প্রকাশ করাকে কী বলে?

উত্তর: মৌখিক যোগাযোগ।

4) অক্ষর বা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে লিখিতভাবে মনের ভাব প্রকাশ করাকে কী বলে?

উত্তর: লিখিত যোগাযোগ।

5) যাদের চোখে দেখতে সমস্যা হয় তারা কোন মাধ্যমে লিখিত যোগাযোগ করে?

উত্তর: ব্রেইলের মাধ্যমে।

6) সংকেত বা ইশারার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করাকে কী ধরনের যোগাযোগ বলে?

উত্তর: অমৌখিক যোগাযোগ।

7) যাদের কথা বলতে এবং শব্দ শুনতে অসুবিধা হয় তারা কোন ভাষায় যোগাযোগ করে?

উত্তর: ইশারা ভাষা বা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ।

8) বয়স এবং সম্পর্ক অনুযাযী আমাদের যোগাযোগ কী রকম হয়?

উত্তর: ভিন্ন ভিন্ন।

9) ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো তথ্য একজন অন্যজনের কাছে পৌঁছাতে আমরা কোন ধরনের যোগাযোগ করে থাকি?

উত্তর: ডিজিটাল যোগাযোগ।

10) প্রতিটি সামাজিক কথোপকথন বা যোগাযোগের কয়টি অংশ থাকে?

উত্তর: তিনটি।

11) যাকে ই-মেইল পাঠাতে হবে তার ই-মেইল ঠিকানা মেইল বক্সের কোথায় লিখতে হয়?

উত্তর: To তে।

12) যোগাযোগ কী?

উত্তর: যোগাযোগ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে আমরা আমাদের চিন্তা, অনুভূতি, ধারণা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি একে অপরের সাথে আদান-প্রদান করি।

13) মৌখিক যোগাযোগ কী?

উত্তর: কোনো ভাষার ব্যবহার করে একে অন্যের কাছে মনের ভাব বা অনুভূতি প্রকাশ করাই হলো মৌখিক যোগাযোগ।

14) লিখিত যোগাযোগ কী?

উত্তর: অক্ষর বা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে লিখিতভাবে মনের ভাব প্রকাশ করাই হলো লিখিত যোগাযোগ।

15) কারা ব্রেইলের মাধ্যমে লিখিত যোগাযোগ করে?

উত্তর: যাদের চোখে দেখতে সমস্যা হয় তারা ব্রেইলের মাধ্যমে লিখিত যোগাযোগ করে।

16) অমৌখিক যোগাযোগ কী?

উত্তর: মুখের অভিব্যক্তি, শরীরের অঙ্গভঙ্গি, সংকেত বা ইশারার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করাই হলো অমৌখিক যোগাযোগ।

17) সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে কারা যোগাযোগ করে?

উত্তর: যাদের কথা বলতে এবং শব্দ শুনতে অসুবিধা হয় তারা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।

18) ডিজিটাল যোগাযোগ কী?

উত্তর: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো তথ্য একজন অন্যজনের কাছে পৌঁছাতে আমরা যে ধরনের যোগাযোগ করে থাকি, তাই ডিজিটাল যোগাযোগ।

19) প্রতিটি সামাজিক কথোপকথনের অংশগুলো লিখ।

উত্তর: প্রতিটি সামাজিক কথোপকথনের অংশগুলো হলো-

১. সম্বোধন

২. মূল বক্তব্য

৩. বিদায় গ্রহণ।

20) E-mail এর To অপশনে কী লিখতে হয়?

উত্তর: E-mail এর To অপশনে যাকে ই-মেইল করা হয় তার ঠিকানা লিখতে হয়।

21) E-mail এর Subject-এ কী লিখতে হয়?

উত্তর: E-mail এর Subject-এ যে উদ্দেশ্যে ই-মেইল করা হয় সংক্ষেপে তার বিষয় লিখে দিতে হয়।

22) মৌখিক যোগাযোগের কয়েকটি উদাহরণ লিখ।

উত্তর: মৌখিক যোগাযোগের উদাহরণ হলো কথা বলা, গান করা, ফোনে কথা বলা ইত্যাদি।

23) যোগাযোগ বলতে কী বুঝায়? উদাহরণ দাও?

উত্তর: যোগাযোগ: যোগাযোগ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমাদের চিন্তা, অনুভূতি, ধারণা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি একে অপরের সাথে আদান-প্রদান করতে পারি। উদাহরণ: মাইকে গান বাজিয়ে তথ্য প্রদান, বন্ধুকে ডেকে কোনো তথ্য দেওয়া, হাত তুলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যোগাযোগ স্থাপন এবং ছবি এঁকে কোনো তথ্য বুঝিয়ে বলা। এই সব কিছুই হচ্ছে যোগাযোগ।

24) যোগাযোগ করার মাধ্যমগুলো লিখ।

উত্তর: যোগাযোগ করার মাধ্যমগুলো হলো-

১. মৌখিক যোগাযোগ: কোনো ভাষার ব্যবহার করে একে অন্যের কাছে মনের ভাব প্রকাশ করা।

২. লিখিত যোগাযোগ: অক্ষর বা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে লিখিতভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা।

৩. অমৌখিক যোগাযোগ: মুখের অভিব্যক্তি, শরীরের অঙ্গ ভঙ্গি, সংকেত বা ইশারার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা।

25) ইশারা ভাষা কী? ইশারা ভাষা কাদের জন্য জরুরি?

উত্তর: ইশারা ভাষা বলতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে হাত ও বাহু নাড়ানোর মাধ্যমে যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে বোঝানো হয়। একে সাংকেতিক ভাষা বা প্রতীকী ভাষাও বলা হয়। এ ভাষা শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য জরুরি। তারা ইশারার মাধ্যমেই ভাবের আদান-প্রদান করে থাকেন।

26) ডিজিটাল যোগাযোগ কীভাবে করা যায় ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো তথ্য একজন অন্যজনের কাছে পৌঁছাতে আমরা যে ধরনের যোগাযোগ করে থাকি, তাই ডিজিটাল যোগাযোগ। মোবাইল ফোনে কথা বলে, মোবাইল ফোনে এসএমএস করে, ই-মেইলে যোগাযোগ করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন মেসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার ইত্যাদির মাধ্যমে ভিডিও কল কিংবা অডিও কলে কথা বলে যোগাযোগ করা যায়। আর এ যোগাযোগগুলো হলো ডিজিটাল যোগাযোগ।

27) সাধারণ যোগাযোগের কয়েকটি রীতিনীতি লিখ।

উত্তর: সাধারণ যোগাযোগের কয়েকটি রীতি-নীতি হলো- ১. কারো সাথে কথা হলে প্রথমে কুশল বিনিময় করা। ২. বয়স অনুযাযী আপনি, তুমি সম্বোধন করা। ৩. কারও সাথে কথা বলার শেষে ধন্যবাদ ও বিদায় জানানো। ৪. রাস্তা পার হওয়ার সময় অন্ধ ব্যক্তিদের সাহায্য করা।

28) ডিজিটাল যোগাযোগ কাকে বলে? ডিজিটাল যোগাযোগের কিছু উদাহরণ দাও।

উত্তর: ডিজিটাল যোগাযোগ: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো তথ্য একজনের কাছ থেকে অন্যজনের কাছে পৌঁছাতে আমরা যে ধরনের যোগাযোগ করে থাকি, তাই ডিজিটাল যোগাযোগ। ডিজিটাল যোগাযোগের উদাহরণ: মোবাইল ফোনে কথা বলা, মোবাইল ফোনে এসএমএস দেওয়া, ই-মেইলে যোগাযোগ করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ইত্যাদির মাধ্যমে ভিডিও কল কিংবা অডিও কলে কথা বলা, ছবি, অডিও, ভিডিও বা কোনো ডকুমেন্ট পাঠানো ইত্যাদি হচ্ছে ডিজিটাল যোগাযোগ।

29) ডিজিটাল যোগাযোগের কয়েকটি রীতি-নীতি লিখ।

উত্তর: ডিজিটাল যোগাযোগের কয়েকটি রীতি-নীতি হলো-

১. ফোনে কথা হলে প্রথমে নিজের পরিচয় দেওয়া।

২. কুশল বিনিময় করা।

৩. অল্প পরিচিত বা অপরিচিত কাউকে ভিডিও কল না দেওয়া।

৪. নিজের অবস্থান সম্পর্কে মিথ্যে তথ্য না দেওয়া।

৫. এসএমএস কিংবা ফোনে আগে নিজের পরিচয় দেওয়া।

৬. কারও ফোন নম্বর তার অনুমতি ছাড়া আরেকজনকে না দিয়ে দেওয়া।

৭. নিজের কথা বলার প্রয়োজন হলে নিজেই কল দেওয়া, যার কাছে প্রয়োজন তাকে কল দিতে না বলা।

30) সামাজিক কথোপকথন বা যোগাযোগের কয়টি অংশ থাকে এবং কী কী?

উত্তর: সামাজিক কথোপকথন বা যোগাযোগের জন্য চিঠি, ই-মেইল, এসএমএস ফোন কল যাই করি না কেন প্রতিটি যোগাযোগের তিনটি মূল অংশ থাকে-

১। সম্বোধন,

২। মূল বক্তব্য,

৩। বিদায় গ্রহণ।

আমরা যোগাযোগের জন্য চিঠি/ই-মেইল/এসএমএসের কথাগুলো লেখার সময় এ ব্যাপারটি লক্ষ্য রাখবো।