ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৯ম অধ্যায়: প্রশ্ন এবং উত্তর
ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৯ম অধ্যায়:
প্রশ্ন এবং উত্তর
1) ম্যাগাজিন কী?
উত্তর: ম্যাগাজিন হলো এক ধরনের সাময়িক
প্রকাশনা, যা কাগজ বা ইলেকট্রিক মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে।
2) প্রকৃত সত্য বা ফ্যাক্ট কী?
উত্তর: কোনো ঘটনার আসল রূপ বোঝাতে
যথেষ্ট তথ্য প্রমাণসহ উপস্থাপিত তথ্যই হলো প্রকৃত সত্য বা ফ্যাক্ট।
3) মতামত বা ওপিনিয়ন কী প্রকাশ করে?
উত্তর: ব্যক্তির নিজস্ব অনুভূতি।
4) আমাদের শরীর
যে একে অন্যের থেকে আলাদা তা নির্ধার করা যায় কিসের মাধ্যমে?
উত্তর: আঙুলের ছাপ,
কণ্ঠস্বর ইত্যাদির মাধ্যমে।
5) পরিবার ভেদে
আমাদের অভ্যাস ও আচরণ কেমন?
উত্তর: ভিন্ন ভিন্ন।
6) আমাদের চারপাশে
বৈচিত্র্য না থাকলে ব্যাপারটা কেমন হতো?
উত্তর: একঘেয়েমি।
7) সপ্তম থেকে
দশম শ্রেণি পর্যন্ত যেতে সর্বপ্রথম আমরা কোন বৈচিত্র্যপত্র পাব?
উত্তর: আন্তদেশীয়।
8) সপ্তম থেকে
দশম শ্রেণি পর্যন্ত যেতে সবশেষে পাওয়া যাবে কোন বৈচিত্র্যপত্র?
উত্তর: ডিজিটাল বৈশ্বিক বৈচিত্র্যপত্র।
9) বৈচিত্র্যপত্র
অনুমোদন করবেন কে?
উত্তর: প্রধান শিক্ষক।
10) তথ্য খোঁজার
ক্ষেত্রে যে উৎসগুলো ব্যবহার করব?
উত্তর: মানবীয় ও জড় উৎস।
11) বৈচিত্র্যপত্র
পেতে হলে আমাদের চারপাশকে কীভাবে বিচার-বিবেচনা করতে হবে?
উত্তর: নিরপেক্ষভাবে।
12) যা যথার্থ
তার পক্ষে থাকাকে কী বলে?
উত্তর: নিরপেক্ষতা।
13) কোনো ঘটনা
বা পরিস্থিতি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করার জন্য কোন দুটি বিষয় জানা দরকার?
উত্তর: প্রকৃত সত্য এবং মতামত।
14) যে বক্তব্যে
কোনো ঘটনার আসল রূপ বোঝাতে গিয়ে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ উপস্থাপিত হয় তাকে কী বলে?
উত্তর: প্রকৃত সত্য বা ফ্যাক্ট।
15) একজন
ব্যক্তির একান্ত নিজস্ব অনুভূতির বহিঃপ্রকাশকে কী বলে?
উত্তর: মতামত।
16) বৈচিত্র্য
কাকে বলে?
উত্তর: আমরা সবাই ভিন্ন, পরিচয়ে ভিন্ন এবং আচরণে ভিন্ন; আর এই
ভিন্নতাকেই বলা হয় বৈচিত্র্য।
17) বৈচিত্র্যপত্র
কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: বৈচিত্র্যপত্র হলো মোট চার প্রকার। যথা- ১ আস্তঃদেশীয় বৈচিত্র্যপত্র, ২. এশিয়ান
বৈচিত্র্যপত্র, ৩.
বৈশ্বিক বৈচিত্র্যপত্র এবং ৪. ডিজিটাল বৈশ্বিক বৈচিত্র্যপত্র।
18) পক্ষপাতমূলক
দৃষ্টিভঙ্গি কী?
উত্তর: পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি হলো মানুষের চিন্তা ভাবনা করার কিংবা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া।
19) পক্ষপাতমূলক
দৃষ্টিভঙ্গির কারণে একজন ব্যক্তি কী খুঁজে থাকেন?
উত্তর: পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে একজন ব্যক্তি এমন তথ্যই খোঁজেন যেটি
তার পছন্দ। তার পছন্দের বা বিশ্বাসের বাইরে কোনো তথ্য পেলে তিনি সেটি গ্রহণ করতে
চান না এবং সেটির সত্যতাও যাচাই করা থেকে বিরত থাকেন।
20) বৈচিত্র্যপত্র
পেতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর: বৈচিত্র্যপত্র পেতে হলে আমাদের চারপাশকে নিরপেক্ষভাবে বিচার-বিবেচনা
করতে হবে।
21) নিরপেক্ষতা
অর্থ কী?
উত্তর: নিরপেক্ষতা অর্থ হচ্ছে যা যথার্থ তার পক্ষে থাকা।
22) নিরপেক্ষতা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো ঘটনা,
বিষয় বা ব্যক্তিকে যাচাই করার সময় কোনো রকম পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ না
করাকে নিরপেক্ষতা বলে।
23) নিরপেক্ষভাবে
যাচাই করার জন্য কয়টি বিষয় জানতে হবে?
উত্তর: কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতিকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করার জন্য দুটি বিষয় জানা
থাকলে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা খুব সহজ হবে। এগুলো হলো-
১. প্রকৃত সত্য বা ফ্যাক্ট,
২. মতামত বা ওপিনিয়ন।
24) গ্রীষ্মের
ছুটিতে কারা কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিল?
উত্তর: গ্রীষ্মের ছুটিতে অর্ণব এবং অন্বেষা কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিল । অর্ণব
এবং অন্বেষা হলো জমজ দুই ভাই ও বোন।
25) কক্সবাজার
সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য হলো ১২২ কি. মি.। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে
দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত।
26) প্রতিদিন কত
সংখ্যক লোক সমুদ্র সৈকত দেখতে আসেন?
উত্তর: প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখতে আসেন।
27) আন্ত:দেশীয় বৈচিত্র্যপত্র কোথায় পেতে পারি?
উত্তর: নিজের দেশের ভিতরে নিজের পরিচয়
ও বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে আমরা আন্ত:দেশীয় বৈচিত্র্যপত্র কোথায় পেতে পারি।
28) আঙুলের
ছাপের মাধ্যমে কীভাবে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে আলাদা করা যায়?
উত্তর: আমরা জানি প্রত্যেক মানুষের আঙুলের রেখা অন্যজন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
বর্তমান সময়ে আমরা এর বিভিন্ন বাস্তব ব্যবহার দেখতে পাই। যেমন- আঙুলের ছাপের
মাধ্যমে নতুন ভোটার নিবন্ধন।
29) “বড়দের যেমন জাতীয়পত্র থাকে আমরা যষ্ঠ শ্রেণিতে
তেমন একটি স্থানীয় বৈচিত্র্যপত্র পেতে পারি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমাদের দেশের প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র
আছে। পরিচয়পত্রে প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থাকে। আমরা প্রত্যেক
পরিচয় পত্রে অনেক ভিন্নতা বা বৈচিত্র্য দেখতে পাই। একইভাবে আমরা আশেপাশের বিভিন্ন
এলাকার বৈচিত্র্যগুলো জানার মাধ্যমে একটি স্থানীয় বৈচিত্র্যপত্র পেতে পারি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় বৈচিত্র্যপত্রগুলো অনুমোদন করবেন।
30) পক্ষপাতমূলক
দৃষ্টিভঙ্গি বলতে কী বুঝ?
উত্তর: পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে কোনো বিষয় বা ঘটনার ব্যাপারে মানুষের
সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি প্রক্রিয়া। যেখানে কোনো ব্যক্তি বা বিষয়ের উপর সমর্থন বা
বিরোধিতা করা হয় কেবল মাত্র নিজস্ব মতাদর্শনের সাথে মিল/অমিল থাকার কারণে।
এক্ষেত্রে প্রকৃত সত্যকে অবজ্ঞা করা হয়।
উদাহরণ: মিতু একটি গ্রামে থাকে, বাড়ির পাশে রয়েছে সুন্দর ছোট নদী আর
বিশাল মাঠ। মিতু যখনই সময় পায় মাঠে খেলতে যায়। নদীতে গোসল করে। মিতুর ধারণা সে
সুখী মানুষ আর যারা শহরে বাস করে তারা দুঃখী, তাদের জীবনে কোনো আনন্দ নেই। শহরের
মানুষ এবং শহর সম্পর্কে মিতুর এই চিন্তা ভাবনাই হলো পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি।
31) কোনো ঘটনা
বা পরিস্থিতিকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করার জন্য কোন দুটি জিনিস জানতে হবে?
উত্তর: কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতিকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করার জন্য দুটি ব্যাপার
জানা থাকলে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা খুব সহজ হয়ে যায়। যথা— ১. প্রকৃত সত্য বা ফ্যাক্ট, ২. মতামত বা ওপিনিয়ন প্রকৃত সত্য
হচ্ছে, যে
বক্তব্যে কোনো ঘটনার আসল রূপ বোঝাতে গিয়ে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ উপস্থাপিত হয়। আর
মতামত হলো- একজন ব্যক্তির একান্ত নিজস্ব অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ।
32) প্রকৃত সত্য
এবং মতামত কাকে বলে?
উদাহরণ দাও।
উত্তর: প্রকৃত সত্য বা ফ্যাক্ট: কোম ঘটনার আসল রূপ বোঝাতে যথেষ্ট তথ্য
প্রমাণসহ উপস্থাপিত হয় তথা বেশি বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য উপস্থাপনই হচ্ছে
প্রকৃত সত্য বা ফ্যাক্ট । উদাহরণ: কক্সবাজার সৈকতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ
ভ্রমণ করেন। মতামত বা ওপিনিয়ন: কোন ঘটনা সম্পর্কে একজন ব্যক্তির একান্ত নিজস্ব
অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে মতামত বা ওপিনিয়ন । উদাহরণ: কক্সবাজার সৈকতে প্রতিদিন
অনেক ভিড় হয়।